লেখক, গাউছ-উর রহমান
সবইতো নিলে আর কি চাও? একটু বলেই দেখো না,
বিশ্বাসের উপহার দিলে কেন আমায় একবুক যন্ত্রনা!
হাসপাতালে বসে ওদের দেখতে চাওয়ার পরেও একটু দাওনি দেখিবার,
একজন বাবা হিসাবে ওদের দেখিবার কি কোন অধিকার নেই আমার?
একজন হতভাগ্য বাবার অধিকার টুকুও কেন কেড়ে নিলে?
কেনইবা বারবার আমায় দুঃখই উপহার দিলে!
ভালোলাগেনা আমাকে তোমার সেটা না হয় বুঝলাম,
তবুও বারবার তোমারই মাঝে কেন সকল সুখ খুজলাম!
ভুলটাতো তুমি করোনি করেছিলাম আমি,
না বুঝেই তোমায় করেছিলাম আমার হৃদয়ের রাণী।
সর্বশেষ তোমায় বিশ্বাস করে রেখেছি তোমার কথা,
ভাবিনি কখনো বিনিময়ে এ হৃদয় পাবে এতোটা ব্যাথা।
আর কতো নিঃশ্ব করতে চাও আমায় নিঃশ্ব করে দাও,
শীতল করতে তোমার রক্ত পিপাসু হৃদয় আর কতো রক্ত নিবে নাও।
আমিতো জানতাম ভালোবাসাও বিশ্বাসের মিনিময়ে মানুষ বিশ্বাসই ফিরে পায়,
তবে কেন সেই বিশ্বাস টুকু দিলেনা আমায়!
আমার জীবনটা নিয়েও যদি সুখি হও তুমি বলিও একটি বারে,
তবুও বারবার ভালোবাসার কাছে ছোট করিওনা আমারে।
সবইতো নিয়েছো কেড়ে আরতো কিছুই বাকি নাই,
তবে কি এখন মাটির তৈরি এই শূন্য খাচাটাও তোমার চাই?
আমার জীবনের সবইতো নিলে কিছুই নেই আর বাকি,
আরো কি চাও তুমি যাতে আমি এ পৃথিবীতে আর না থাকি?
আসলে কি চাও তুমি, আমার নিঃশ্বেষ হওয়া নাকি নিঃসঙ্গতা,
দয়া করে বলে দিও আমার কাছে আর কি তোমার চাওয়া?