প্রতি বছর ৩১ মে ‘বিশ্ব ধূমপান বিরোধী দিবস’ পালন করা হয়। ধূমপানের কারণে শরীরের এবং পরিবেশের কী কী ক্ষতি হয়, সে বিষয়ে সচেতন করার জন্যই এই উদ্যোগ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, প্রতি বছর ৮০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তামাকজাত দ্রব্য সেবন থেকে হওয়া নানা অসুখের কারণে। ফুসফুসের নানা অসুখ, শ্বাসের সমস্যা, ক্যানসার, স্নায়ুর সমস্যা, ডিমেনশিয়া, হার্ট অ্যাটাক তো আছেই; তার সঙ্গে হতে পারে আরও নানা অসুখ।
মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন-এর পক্ষ থেকে ধূমপানের আরও একটি মারাত্মক ক্ষতির বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ধূমপানের কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস-এর আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যার পরিমাণ মারাত্মক।
তাদের সমীক্ষা বলছে, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত হারে বাড়তে থাকে। তাছাড়া ইনসুলিন উৎপাদনের হারও কমে যায়। ফলে বাড়তে থাকে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা। বিশেষ করে ইতিমধ্যেই যাদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রবণতা রয়েছে বা যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব— তাদের মধ্যে এই সমস্যা মারাত্মক হারে বাড়ে।
তাদের সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, যারা ধূমপান করেন, তাদের মধ্যে টাইপ টু ডায়াবেটিস-এর আশঙ্কা, যারা ধূমপান নেন না তাদের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। তবে এর পাশাপাশি আশার আলোও দেখানো হয়েছে। দেখা গেছে, চল্লিশ বছরের আগে ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দিলে এই টাইপ টু ডায়াবেটিস-এর আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। এমনকী ফুসফুস বা ক্যানসারের আশঙ্কাও অনেকটা কমে যেতে পারে।