সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে আবারো জেঁকে বসেছে তীব্র শীত।
ভোর থেকে বৃষ্টি থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মেহেরপুর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ বেশ কিছু জেলায়। এতে ভোগান্তি বেড়েছে আরো কয়েকগুন। সবথেকে বেশি দুর্ভোগে পরেছে কর্মজীবী মানুষ। এদিকে, বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সড়ক-মহাসড়কে দিনের বেলায় যান চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এদিকে, প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। এদের বেশিরভাগই নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা আর অকাল বৃষ্টিতে নীলফামারী ও কুড়িগ্রামে আলু ও সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে থাকায় মাঠেই নষ্ট হচ্ছে অনেকে ফসল। এছাড়া আলু ক্ষেতে দেখা দিয়েছে লেট ব্লাইটের আক্রমণ।
কনকনে ঠান্ডা আর বৃষ্টি, বিপর্যস্ত করে তুলেছে জনজীবন। শুধু তাইনয় এর প্রভাব পড়েছে মৌসুমী নানা ফসলের ক্ষেতে।
নীলফামারীতে এবার ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আর সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে সরিষা। আর আলু ক্ষেতে পচন ও পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষীরা।
ক্ষতি কমাতে জমি থেকে দ্রুত পানি অপসারণ ও কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। বৃষ্টি ও শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রামে আলুর ক্ষেতে দেখা দিয়েছে লেট ব্লাইটের আক্রমণ। এতে পচন ধরেছে আলুতে। এ অবস্থায় উৎপাদন খরচ নিয়েই শঙ্কিত চাষীরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, অসময়ে ঝড় বৃষ্টির কারণে রবিশষ্যের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এখন কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ক্ষতি পোষাতে। চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর বেশিভাগই নষ্ট হয়েছে অসময়ে বৃষ্টির কারণে।