উত্তরের শীতপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে ভোর থেকে সবচেয়ে বেশি ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। সোমবার ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো জেলা।
এ সময় বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। এতে করে হেডলাইট জ্বালিয়েও যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। দিনের বেলাতে সূর্য উঠলেও রোদের তীব্রতা নেই। দিনভর থাকছে শীতের আমেজ। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি দেখা যায়। এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে শৈত্যপ্রবাহ নামতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। এ কারণে কাজে যেতে পারি নাই। তবে দিনের বেলাতে সূর্য উঠলেও রোদের তীব্রতা নেই।
এদিকে জেলা প্রশাসন অফিস থেকে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলায় ৩২ হাজার ৩৯৯টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারিভাবে ১ হাজার ১৫০টি কম্বল শীতার্তদের দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
ওইদিন পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যা হলেই হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয় পুরো জেলা। ভোর থেকে তা আরো তীব্র হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলো খানিকটা উঁকি দিলেও থাকে না তেমন উত্তাপ। এমন পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীতে ঘর থেকেই বের হতে পারছে না শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুররা।