জাগোবার্তা নিউজ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আলীনগর ভূতপুকুর গ্রামের শতাধিক বাড়িতে বাঁশের খুঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। সরজমিনে দেখা যায় রাস্তার ধার দিয়েই বাঁশের খুঁটি পুতে ঝোলানো হয়েছে বিদ্যুতের তার।
৩০ মার্চ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারের জটলার ভার সইতে না পেরে বাঁশগুলো হেলে পড়েছে। কোথাও বা হেলে থাকা বাঁশ ঠেকনা দেয়া হয়েছে আরেকটি বাঁশ দিয়ে।
এলাকার বাসীন্দা ময়না বেগম, মুনতাজ আলী ও নওশাদ আলী নামের কয়েক জন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে জীবন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যেই চলাচল ও বসবাস করতে হচ্ছে তাঁদের।
সামনে আসছে বর্ষাকাল যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দু’বারের সাবেক সংসদ আব্দুল ওদুদ এর সুপারিশ নিয়ে আবেদন দিলেও নেই কোন দৃশ্যমান অগ্রতি।
এ সডু, শামসুন নাহার, সারমিন নামের ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে জীবন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যেই চলাচল ও বসবাস করতে হচ্ছে তাঁদের। সামনে আসছে বর্ষাকাল যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
আলীনগর ভূতপুকুর গ্রামের লোকজন শর্ট সার্কিটের আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছে দীর্ঘ দিন যাবৎ। এলাকাবাসী জানান, বিদ্যুৎ অফিসে বিদ্যুতের খুটির জন্য আবেদন জানালেও কর্তৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ। খুঁটির ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়ে কর্তৃপক্ষ বাঁশ বসিয়ে সংযোগ দিয়েছেন, যা অনিয়ম।
অনুসন্ধানে জানা যায় সংযোগ ফি ছাড়াও ইলেকট্রিশিয়ান অতিরিক্তি অর্থ লেন-দেনের মাধ্যমে বাঁশের খুঁটি দিয়ে সংযোগ দেয়। তরুণ উদ্যোক্তা সমাজ সেবী ও আসন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর পদ প্রার্থী নাজনীন ফাতেমা জিনিয়া বলেন, সামনে গ্রীর্ষকাল আসছে বিদ্যুৎ লাইনগুলো যে ভাবে বাঁশের উপর ভর করে টাঙ্গানো আছে ঝড়-বৃষ্টি হলে এলাকায় মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বড় ধরনের দূর্ঘটনা হতে এ গ্রামবাসীকে রক্ষা করতে জরুরী ভিত্তিতে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জানান, ১০০ গজের বেশি দূরত্বে সার্ভিস লাইন দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। ১০০ গজের অতিরিক্ত দূরত্ব হলে অবশ্যই খুঁটি দিতে হবে, অন্যথায় সংযোগ দেয়া যাবে না। অথচ এ গ্রামে এক কিলোমিটারের বেশি দূরে গিয়ে খুঁটি বসানো হয়েছে। মাঝের স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে বাঁশের খুঁটি অতিরিক্ত উৎকোচ দিয়ে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেসকো চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মো. অলিউজ্জামান বলেন, উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে আমি এ সকল বিষয়ে কথা বলবো না। এলাকাবাসীসহ সকলের কাছ থেকে জেনে নিশ্চিত হওয়া গেছে উৎকোচের বিনিময়েই এমন ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ এর লাইন দেয়া হয়েছে। তাই অতি দ্রুত বাঁশ সরানোর দাবি এলাকাবাসীর।
প্রকাশিত/কপোত নবী/৩০/০৩/২০২১।